লোকে কি বলবে তার ভয় ?। রিডিং থেরাপি।
লোকে কি বলবে তার ভয় ?
আমি জানিনা তোমার বয়স কতো তাই আমি বন্ধু বলেই আখ্যা দিলাম। সমাজের 70% মানুষ (অনুমান ) ভয় পায় যে লোকে কি বলবে। এবার এই 70 % মানুষের মধ্যে কিছু শতাংশ বুঝে তো যায় যে এই ভয় এর কোনো উপকারিতা নেই তবুও মনে ভয় থেকে যায়। আমারো এই ভাবে বোঝার পরও দুই বছর এই ভয় মনের মধ্যেই ছিল বিশ্বাস করো সে এক বিচ্ছিরি অনুভূতি।
তোমাকে একটা গল্প শোনায়, আজ থেকে দুই বছর আগে আমিও পুরোপুরি এই রোগের শিকার ছিলাম। আমার ক্ষেত্রে, আমি আমার সব আত্মীয় স্বজন সবার কাছে একটা ভালো মানুষ হতে চাইতাম। তখন ভাবতাম সমাজে একটা ভালো মানুষ হিসেবে আখ্যা পেতে গেলে আমাকে সেই সমাজের মানুষদের প্রত্যাশার (expectation )ওপর নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
যেটা ছিল আমার সবচেয়ে বড় ভুল ভাবনা (ভুল ভাবনা নং 1) । একটা মানুষ কেনই বা হাজার মানুষের প্রত্যাশার উপর নিজেকে গড়ে তুলবে ? সেই তখন থেকেই আমি ভাবতে শুরু করলাম, আবার নতুনভাবে নিজের মত করে। চিন্তা ভাবনার প্রক্রিয়া সতেজ করার সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নিলাম। যদি ভাবো এটাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কি আছে তবে বলি এটাতেই তো গুরুত্ব দেওয়ার আছে ভেবে দেখো। কেউ তোমায় পাগল বলল তুমি এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে সাতটা দিন কাটিয়ে দিলে তাহলে পাগল টা সত্যিই হলে ?
একটা কথা বলি বয়স বাড়লেই বুদ্ধি বাড়ে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অনেক রকম পর্যায় আসলো জীবনে সময়ের সাথে সাথে। নিচে আলোচনা করলাম। আমার ক্ষেত্রে
প্রত্যেকটা কথায় জিজ্ঞাসা চিহ্ন লাগালাম = ভাবলাম যে যা বলবে সেটা একেবারেই বিশ্বাস না করে যদি প্রশ্ন চিহ্ন লাগানো যায় তারা কি উত্তর দিতে পারবে। মজার ব্যাপার বেশিরভাগ লোকই জানে না যে তারা যেটা বলছে সেটা জেনে বলছে কিনা। এভাবেই অনেক প্রশ্নের অনেকরকম উত্তর পেতে পেতে দ্বিতীয় পর্যায়ে গেলাম।
রাগ হতে শুরু করলো = ধীরে ধীরে বুঝতে বুঝতে সমাজের প্রতি যেন রাগ হতে শুরু করলো। সমাজের দেওয়া কিছু নীতি গুলো যেন মেনে নিতে পারছিলাম না। কেমন যেন উদ্বিগ্ন (anxious ) হতে লাগলাম পুরো সমাজ টাকেই বদলাতে চাই ছিলাম (ভুল ভাবনা নং 2 ) । মাথা আমার খিচুড়ি হয়েছিল তারপর এলো তৃতীয় পর্যায়।
নিজেকে ভুল ভাবতে লাগলাম = আমার এমন চিন্তা ভাবনা ধীরে ধীরে আমার ব্যবহারেও ফুটে উঠলো। তারপর যারা চারটে লোক কি বলবে এটা নিয়েই থাকে তারা আমাকে একটু অন্যভাবে দেখতে লাগলো। অযৌক্তিক কথা দিয়ে আমাকে আমার কাছে খারাপ করার চেষ্টা এই ধরনের মানুষ অনেকটাই করলো। তাই কিছু সময়ের জন্য যেন নিজেকে সন্দেহ হতে লাগলো (ভুল নং 3 ) । তারপর চতুর্থ পর্যায়।
আবারো নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম = জিজ্ঞাসা করতে করতে উত্তর এলো,যারা অন্যকে নিয়ে সবসময় সমালোচনা করে তারাই ভয় করে লোকে কি বলবে(আরো একবার পরো )। তারপর আমার সামনে স্বচ্ছ হলো যে না আমি ভুল নয়। এত কিছু হওয়ার পরেও মনের ভিতর যেন ওই ভয়টাকে মিটিয়ে ফেলতে পারছিলাম না। তারপর এই রোগকে পুরোপুরি মিটিয়ে ফেলার শেষ পর্যায় এলো।
নিশ্চয়তা পদ্ধতি (affirmation method) = তারপরে এই নিয়ে সার্চ করতে করতে জানতে পারলাম অ্যাফারমেশন মেথড সম্পর্কে। যেটাকে আমরা বাঙালিরা বার বার বল মুখস্থ হয়ে যাবে বলি সেটাই হচ্ছে এক ধরনের অ্যাফারমেশন মেথড।
এতক্ষণ যে আমরা এত কিছু সার্চ করলাম নিজেকে জিজ্ঞাসা করলাম নিজের উপর সন্দেহ করলাম এগুলো সবই করলাম আমাদের চেতন মন (conscious mind) দিয়ে। কিন্তু ছোটো থেকে ভয় দেখিয়ে এই ভয় যে আমাদের অবচেতন মনে রয়ে গেছে।
এই পদ্ধতিটি তে তুমি যেভাবে নিজের জীবন কাটাতে চাও যে জিনিস গুলো কে বিশ্বাস করতে চাও সে গুলি নিজেকে বারবার স্বচ্ছভাবে এবং নিজের অন্তর থেকে বলতে থাকো। আবারো বলছি অন্তর থেকে এমন ভাবে বলবে জেনো তুমি সেটা অনুভব করতে পারো। এই ভাবেই তোমার অবচেতন মন তোমার এই চিন্তা বিশ্বাস করতে থাকবে এবং তুমি এই রোগ থেকে রেহাই পাবে।
সত্যি বলতে এই পদ্ধতি আমাকে সাহায্য করেছে। এমন সময় সবার জীবনেই আসে কেউ ভাবে এটাই ঠিক কেউ ভাবে কেনই বা আমি হাজার মানুষের কথা শুনে নিজে বাঁচবো। তাহলে আমার বেঁচে থাকার অর্থ কি ?
ভুল গুলি
পুরো সমাজ কে বদলাতে চাওয়া
কারোর অযৌক্তিক কথা মেনে নিজেকে সন্দেহ করা
পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য আরও একটি বার পরতে পারো। তুমি যদি ভাবো যে উপরের পয়েন্টগুলি তোমার সাথে সম্পর্কিত এবং কিছু সাহায্য হয়ে থাকে তাহলে নিজের ফ্যামিলি, বন্ধু-বান্ধব এবং ভাই বোনদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ফলো করার আইকন গুলো নিচে দেওয়া আছে।
ধন্যবাদ
blog ta onek valo laglo
ReplyDeleteলেখা গুলো ভালো ছিলো positive.....
ReplyDeleteআমিও লেখালেখি পছন্দ করি কিন্তু আমি এখনো ব্লগে আপলোড দেইনি।
hi..... Your great work Blog post
ReplyDeleteI am From Bangladesh and
Well you be my friend
https://m.facebook.com/friends/center/requests/?rfj
Delete