পাঁচটি অভ্যাস খুশি থাকার। বাংলা মোটিভেশন। বাংলা কথা

আমরা সবাই সব সময় খুশি থাকতে চাই এবং এটা সম্ভব।যদি তুমি মন থেকে খুশি হতে চাও তাহলে এই পাঁচটি অভ্যাস আপনাকে  সাহায্য করতে পারে।কিছু খারাপ হলে আমাদের মন খারাপ হয় ঠিকই কিন্তু যদি আমরা এভাবেই খুশি থাকতে চাই এবং মন খারাপ হলো, সব বাজে এসব না  বলে যদি আমরা নিজেকে ভালো কথা বলে থাকি তাহলে সমস্যার সমাধান এবং মন ভালো দুটোই হবে।এবার যখন মন খারাপ হয় তখন নিজেকে ভালোভাবে বোঝানো একটু কঠিন হয়ে যায় তাই আমাদের এটা অভ্যাস এ গড়তে হবে।

1 • আয়নার সামনে কথা 

বেশিরভাগ পরিমাণ মানুষ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শুধু নিজেকে খারাপ ভাবে সমালোচনা  করে থাকে যা তাকে মানসিকভাবে বিরক্ত করতে পারে।কেউ কেউ সকালে উঠে আয়না দেখে নিজেকে বাজে ভাবে সমালোচনা করে  যার জন্য তাদের পুরো দিনটাই খারাপ যেতে পারে।বেশিরভাগ দেখা যাবে যাদের অন্যের তাকে নিয়ে সমালোচনা করার জন্য রাগ হয় তারাই বেশিরভাগ নিজেকে নিয়ে বাজে ভাবে সমালোচনা করে থাকে।কিন্তু ভেবে দেখো যে জানে সে কেমন তাকে নিয়ে হাজারো সমালোচনা করলেও কেউই মানসিকভাবে তাকে কিছুই করতে পারবে না।যখনই সময় পাবে নিজের জন্য সময় নিয়ে কিংবা আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে মোটিভেট করা নিজের সাথে ভালো ভাবে জীবন নিয়ে আলোচনা করবে। ধীরে ধীরে এসব কথায় মানসিকভাবে তোমার সাথ দেবে এবং সেই সময় যখন তুমি নিজেকে এমন ভালো কিছু কথা বলবে তোমার নিজের অনেকটা ভালো লাগবে।

2 • রাগ, হিংসা, অহংকার ছেড়ে দাও 

মনের মধ্যে রাগ হিংসা রাখলে মনের কি অবস্থা হবে ভেবে দেখেছো এক্ষেত্রে খুশি তোমার থেকে দশ হাত দূরে থাকবে।কেন আসে এই রাগ হিংসা কেউ তোমার মত না বলে নাকি তুমি তাদের মত না বলে জিজ্ঞাসা করো নিজেকে উত্তর পেতে বাধ্য তুমি। মনের মধ্যে রাগ হিংসা অহংকার এসব থাকলে কখনোই খুশি থাকা যায় না। কাউকে অপমান করলে সবার সামনে খারাপ সে না তুমি হবে। নিজে  ক্ষমা করতে ও ক্ষমা চাইতে শেখো এবং এই রাগ, হিংসা,অহংকার   সবগুলোকে বলে দাও টাটা বাই বাই তোদের জন্য আমার মনে কোন জায়গা নাই।মন থেকে এই সবগুলো চলে গেলে তারপরে না দেখতে পাবে তুমি জগতের আসল সৌন্দর্য।তাই আজ থেকেই নিজেকে এইভাবে বলতে শুরু করে দাও এবং অভ্যাস গড়ে ফেলো।

3 • যেটা আগে প্রয়োজন

যত তুমি তোমার সময় নষ্ট করতে থাকবে তত তুমি তোমার স্বপ্নের এবং তোমার আসল খুশি থেকে দূরে যেতে থাকবে। কিছু সময়ের জন্য খুশি হওয়ার চেয়ে সারা জীবনের জন্য খুশি হওয়া টা ভালো এটা আমরা কবে বুঝব। এবং এই তৎক্ষণাৎ খুশি দেয়ার মত জিনিস গুলো যেমন বেশিক্ষণ থাকে না তেমন এগূলোর ক্ষতিও রয়েছে।শুরু করো একদিন দিয়ে সেই দিন নিজের জীবনের জন্য নিজের স্বপ্নের জন্য কিছু করো অন্য কিছু করার আগে দেখো তোমার খুশি হয় কি না (মনে হবে তুমি তোমার স্বপ্নের দিকে এক পা এগিয়ে গেছো)এবং ধীরে ধীরে তুমি এই খুশি টিকে উপভোগ করতে শুরু করবে।

4 • সবাইকে সম্মান করো 

চেষ্টা করো এবং ধীরে ধীরে অভ্যাস বানিয়ে নাও নিজের থেকে বড়ো এবং ছোটো দের সম্মান করা।বড়োদের থেকে কিছু শিখতে পেলে ছোটো দেরকে শেখাতেও পারবে এবং কখনো কখনো ছোটোরা অনেক বড় শিক্ষা দিয়ে যায় কিন্তু। তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে আমাদের সম্মান দেয় না তাদের কেন আমি সম্মান দেবো কিন্তু তাদের অসম্মান করা  তো ঠিক হবে না।মন থেকে খুশি একটা মানুষ কখনো বাজে কথা বলে কাউকে দুঃখ দিতে চাইবে না বা বাজে কথা বলার পর তার নিজের মন খারাপ হতে পারে তার কারণে যে যেমনি হোক আমি ভালো থাকবো এমনই একটা মনোভাব নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। এই মনোভাব নিয়েই জীবনে অনেকটা খুশি  হাওয়া যায়। 

5 • ভালো মানুষের সাথে নিজেকে ঘিরে রাখা 

এমন অনেক সময় হয় আমাদের আশেপাশের লোকজনের চিন্তাভাবনা অনেক বাজে হয় তারা সবসময় বাজে কথা বলে এবং তাদের মাঝে তুমি যদি কিছু বলো বা ওদের আটকাও তুমিও তাদের এক পাত্র হতে পারো এই ভেবে তুমি তাদের কথার সাথে কথা মেলাও যেটা পরে তোমার মনে খোটা দেয়। আশেপাশের লোকজনের যদি তাদের জীবনে নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা না থাকে তাহলে তুমিও এমন হয়ে যাবে যেটা ঠিক নয়।নিজের আশেপাশে আশাবাদী মানুষদের রাখ এবং আশাবাদী মানুষের সাথেই থাকার চেষ্টা করো। যদি ভেবে থাকো যে তারা বদলে যাবে তাহলে বদলাতে পারে কিন্তু তোমার এসব কথা ভাল লাগেনা জেনেও যদি  তারা তোমার সঙ্গে এসব কথা বলে তাহলে তারা তোমায় সম্মান করে না।এর কারণেই এই ধরনের মানুষ তোমার খুশির উপর বাধা হতে পারে।

• সবকিছু শুরু তোমার থেকেই তাই এটা চেয়ে ছিলাম সেটা হয়নি এসব বলে নিজেকে খারাপ রাস্তা দেখানো ছাড়া কিছুই করতে পারবে না।

• কখনো কিছু ভুল করলে সেটা নিয়ে বসে না থেকে সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাও। 

• কখনো কারো জন্য খারাপ ভেবো না ভালো না ভাবতে চাইলেও ।

লেখিকা 

আনিসা খাতুন