একটি দিন। ছোটো গল্প। বাংলা কথা
ঘুম ভাঙতেই নিজেকে মনে মনে বললাম যাক আজ উঠেই পড়ি।উঠলাম ,দেখলাম বাড়ির সবাই এখনও স্বপ্নে সাঁতার কাটছেন অর্থাৎ ঘুমাচ্ছেন । প্রথমবার সকালে নিজের চা নিজে বানিয়ে প্লেটে দুটো টোষ নিয়ে এসে আমার ঘরের জানালার ধারে বসলাম। চা খেতে খেতে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম।টোষ খাওয়ার অ্যাডভান্টেজ হচ্ছে ওটা মানুষ আর বিস্কুটের মত সহজে ভেঙে পড়ে না । আবহাওয়া অনেক সুন্দর ছিলো মেঘেরা ধীরে ধীরে আকাশে নিজেদের জন্য জায়গা করতে শুরু করল সূর্যের আলো গাছকে এসে ছুলো এবং তার উত্তপ্ততা আমার জানালার ধারে বসার মজা কিরকিরা করে দিল। জানালার ধার থেকে উঠতে উঠতেই অবচেতন মনে বললাম আজকের দিনটা খুব সুন্দর।তারপর স্নান করে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে গেলাম কলেজ।দিন ছিল বুধবার এবং বাসের জানালার ধারে বসার জায়গা পেয়ে গেলাম। পাশে একজন বৃদ্ধ দাদু এসে বসলেন কিছুক্ষণ পর দাদুকে তার ফোনে তার স্ত্রীর ছবির দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখলাম।ভাবলাম বাহ রে এরকম একটা সে যদি আমারো হতো। বাসটি থামবে একদম আমার কলেজের সামনে তাই জানালার দিকে তাকিয়ে রইলাম তবে এই দৃশ্য যে আমার রোজকার দেখা কিন্তু আজ যেন একটু বেশী মনোরম লাগছিল। কলেজ পৌছে দেখলাম কোনো বন্ধুই আজ উপস্থিত নন।একটু একা লাগলো তবে মনে মনে খুশি হলাম আজকের দিনটা নিজের সাথে কাটাতে চাইছিলাম আরকি । কলেজ শেষে পাশের মাঠে গিয়ে একটু বসে ছিলাম,প্রায়ই যাই বন্ধুদের সাথে কিন্তু আজ একাই ছিলাম।সেখানে যেনো আজ কত কি লক্ষ্য করতে পারছিলাম যা এর আগে কখনো লক্ষ্য করতে পারিনি।আমার ভাবনা মস্তিষ্কের বদ্ধ ঘরের পাশের রুম ওই যে খোলা ঘরে ঢুকে ছিল বোধহয়। মাঠের একপাশে ফুটবল চলছে এক পাশে আমি আগে না আমি আগে করা ক্রিকেট ম্যাচের পাক্কা প্লেয়ার গুলো গাছের নিচে প্রেমিক-প্রেমিকা এবং পাশে ছিল চা, ঘুঘনি, ঝালমুড়ির স্টল মনে হচ্ছিল অর্ধ সমাজ এই এক মাঠে এসে জড়ো হয়েছে। বাসে করে বাড়ি ফিরলাম ।ফ্রেশ হয়ে জানালার ধারে আবার বসলাম। বিকালের নীল আকাশ সাদা মেঘ তখন যেনো একবার আমার দিকে তাকাল এবং আমি ওদের দিকে। ওখানে কিছুক্ষণ বসে গল্প পরছিলাম । বুদ্ধদেব গুহর লেখা বাবলি খুব সুন্দর একটি প্রেমের গল্প। হ্যাঁ আমি প্রেমের গল্পের একজন সত্য প্রেমিকা। হালা কি আজ পর্যন্ত প্রেমে পড়ার সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্য বলা যেতে পারে তা আমার হয়নি।কখনো কখনো ভাবি আমার যে সে হবে কতটাইনা সৌভাগ্যবান হবে কেন আমার মনের সবটুকু ভালোবাসা যে তাকেই দিতে চায় । দেখো আমি খুব সাধারন মেয়ে বাবা আই এম আ ওয়ান ম্যান উইমেন। আচ্ছা আমি তো রান্না করতে পারিনা আর সে যদি পেটুক হয় তাহলে আমাকে রান্না শিখতে হবে দেখছি আচ্ছা ভাত ডাল করতে কি কি লাগে। এ বাবা দেখেছো ভাবতে ভাবতে কোথায় পৌঁছে গেলাম। সন্ধ্যে হল নাস্তা করলাম তারপর তৈরি হচ্ছিলাম টিউশন যাবার জন্য ।রাত ন'টা টিউশন থেকে এলাম মা খেতে দিল খাওয়া শেষে ফ্রেশ হয়ে নিজের ঘরে এসে ঘুমানোর বিছানার উপর ডায়েরি নিয়ে বসলাম।বিছানার সামনে আয়না ছিল আয়নাতে নিজেকে দেখে কত কি যে ভাট বকতে লাগলাম । এইযে ধরো যেমন মুখের নানারকম ভঙ্গি করতে লাগলাম, জানালার ধারের দিকে তাকিয়ে বললাম কিরে আমায় মিস করছিস তো কিন্তু আমি এখন বসবো না আমি এখন ঘুমাবো মাইরি,আবারও ভাবতে লাগলাম আচ্ছা আমার যে সে হবে আমায় কতটা ভালবাসবে আমায় সাথে করে পার্কে নিয়ে যাবে তো যেমন আমার বান্ধবীদের নিয়ে যায় ওদের সে গুলো তবে আমি আগেই বলে দেবো আমার পার্কের চেয়ে নদীর ধারে সুন্দর লাগে। এসব ভাবতে ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আজকের সারাদিনটা ডায়েরিতে লিখে ফেললাম। দিনের শেষে সৃষ্টিকর্তাকে থ্যাঙ্ক ইউ আর সরি জানিয়ে ট্রেনে করে সাত সমুদ্রের এক সমুদ্রে স্বপ্নে সাঁতার কাটার জন্য রওনা দিলাম অর্থাৎ ঘুমিয়ে গেলাম। শুভ রাত্রি
লেখিকা
আনিসা খাতুন
Ami ki apnar story youTube e ditey pari? Obbossoi apnar naam mention kora thakbe
ReplyDeleteHm dite paren, tobe er moddhe bananer onak vul royeche. Abong amk obossoi link at share korben
ReplyDelete