চিন্তা ভাবনা লিখে ফেলা কতোটা উপকারী ? বাংলা মোটিভেশন। বাংলা কথা
চিন্তা ভাবনা লিখে ফেলা কতোটা উপকারী ? বাংলা মোটিভেশন। বাংলা কথা
চিন্তা ভাবনা লিখে ফেলা
নিজের অনুভূতি খাতায় লেখা অনেকে এটা জানে কিন্তু কেউ কেউ এটিকে ব্যবহার করে এবং কেউ কেউ ব্যবহার করে না। এত পর্যন্ত আমরা সবাই জানি কিন্তু এই কাজের কি উপকার তা খুঁটিয়ে দেখার সময় একটু কম।
তাই আজ আমি এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো ।আসলে বলতে গেলে আমি আর তুমি মিলে আলোচনা করবো বলতে পারো আমি চিন্তা ছুড়বো এবং তুমি ভাবনায় জড়াবে।
1 নিজের অনুভূতি খাতায় লিখে ফেলা কাউকে বলার থেকে বেশি কার্যকর ?
2 মস্তিষ্কের উপর ভালো না খারাপ কোন প্রভাব ফেলবে ?
3 সাধারণ জীবনে কি কোন ভালো প্রভাব পড়বে ?
প্রথম প্রশ্নের উত্তরে , হ্যাঁ আমাদের মনে খুশি, রাগ ,দুঃখ সবই হয় আমরা তো কেন দুঃখ হচ্ছে না এটা ভেবেও দুঃখ করি ।
এবার সমস্যা তখন হয় যখন আমরা দুঃখ শেয়ার করলে দুঃখ কমে এমন কথাকে চোখ বুজে বিশ্বাস করি। এর মাধ্যমে আমরা কখনও কখনও না বেশিরভাগ সময়ই ভুল মানুষকে বলে ফেলি।
তাই খুঁটিয়ে দেখতে গেলে যাকে শেয়ার করলে তোমার দুঃখ কমে যাবে বা খুশি বেড়ে যাবে সেটা তো তুমি নিজেও হতে পারো। এবার এক্ষেত্রে দুটো কাজ করা যায় আয়নার সামনে কথা (Mirror talk) বা লিখে ফেলা। পাঁচটি অভ্যাস খুশি থাকার। বাংলা মোটিভেশন। বাংলা কথা এখানে আমি মীরার টক নিয়ে ছোট্ট একটি বিশ্লেষণ দিয়েছি এবং সাথে আরো অনেক টিপস।
হ্যা প্রত্যেকদিন রাগ,দুঃখ যেকোনো যেমনই হোক চিন্তাভাবনা তুমি লিখে ফেলে নিজের মনকে হালকা করতে পারো । এবং এর আরো একটি উপকার হলো এই খাতা যে খাতাই তুমি কিছু তোমার মনের কথা লিখবে সে কাউকে শোনাবো না বলে পুড়ো পাড়াকে শুনিয়ে আসবে না। কি তাইতো ?
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে, কোন মানুষকে তোমার কিছু বিষয়ে বলার পরে তুমি কেমন চিন্তায় পরো, ওকে বলে ভুল করলাম না তো ? যদি সবাইকে বলে দেয়? আমায় নিয়ে যদি মজা করে ? এ ধরনের চিন্তাভাবনা তোমার মাথা খারাপ করবে এবং তুমি তোমার বর্তমানে কিছু করতে পারবে না।
সেখানে খাতায় লিখে ফেলা তোমার সমস্যা তোমার চোখের সামনে তুলে ধরবে এবং তুমি সেটা সমাধান করতে পারবে এবং আগে বলা সমস্যাই তোমায় পরতে হবে না। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগত রাখাটাই উপকারী বলে মনে হয়।
তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে, আগের উত্তরগুলি পড়ে আমরা বুঝতেই পেরেছি যে এটি নিশ্চয় আমাদের জীবনে কোন খারাপ প্রভাব ফেলবে না।
সকালে উঠে কখনও পয়েন্টলেস হয়ে গেছো ? কি করবো,কি করতে হবে হয়েছো নিশ্চয়ই , আমিও হয়েছি সবাই হয়। প্রথম টিপস সকালবেলা উঠে কি কি করতে হবে সেটা লিখে ফেলো এর দ্বারা তোমার সারাটাদিন অরগানাইজ থাকবে।
দ্বিতীয় টিপস তোমার যখনই রাগ হবে বা খুব খুশি হবে যেটি আমি আগেও মেনশন করেছি যে তুমি তোমার কোন ডায়েরি বা খাতায় লিখে রাখবে। তারপরে বুঝতে পারবে তোমার চিন্তা-ভাবনা অর্থাৎ তোমার মাথাটা কতটা হালকা হয়েছে।
যদি তুমি এমন করে থাকো তাহলে আমাকে নিশ্চয়ই জানিও কমেন্টের দ্বারা এবং যদি না তাহলে একবার ট্রাই করে দেখো।
এবার আসি একটা প্রশ্ন যেটি আমার মনে হয়েছে হয়তো তোমার মনে জাগতে পারে যে আমাকে তাহলে একটা সুন্দর ভালো কিউট ডাইরি কিনতে হবে ভালো পেন কিনতে হবে কিন্তু আসলেই এমন না। তুমি শুধু তোমার কাছে থাকা যেকোনো নোটবুক এবং পেন ব্যবহার করতে পারো এবং আলাদা ভাবে রাখতে চাইলে সেটাকে একটু d.i.y. করে সাজিয়ে রাখতে পারো।
আরও একটি বিষয় যেটি হল কোন কিছু লিখতে বসার সময় এমন হয় না যে লিখতে বসে হাজারো বিষয় মাথায় আসে । যখনই লিখতে বসবে কাউন্ট করে নেবে কত রকমের বিষয় তোমার মাথায় আসছে তাদের উপেক্ষা করবে না।
ওগুলো এমন চিন্তা ভাবনা যা জীবন বদলাতে কাজে লাগে এক বিষয় নিয়ে মাথায় যা আসে লিখে ফেলো এবং তুমি বুঝতে পারবে তোমার মস্তিস্ক তোমায় কি বলতে চাইছে। এটা একটা দারুন তথ্য।
সবশেষে
1 কাউকে বলার চেয়ে লিখে ফেলা টা বেশি ভালো ।
2 এই কারণে তোমার আলাদাভাবে কোন সুন্দর পেন বা ডাইরি কেনা লাগবে না।
3 সাত দিনের চ্যালেঞ্জ দাও নিজেকে তারপর দেখো কি কি চিন্তা-ভাবনা তোমার মাথা থেকে বেরিয়ে আসে।
4 নিজের মস্তিষ্ক এবং লেখার শক্তির সংমিশ্রণটি ব্যবহার করো।
এতোটুকু পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং যদি কিছু বুঝে বা জেনে থাকো এবং কিছু বলতে চাও তাহলে নিশ্চয়ই কমেন্টে জানাবে।
লেখিকা
আনিসা খাতুন
বাহ্ দুর্দান্ত! সত্যিই সুন্দর এক দৃষ্টিকোণ।
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ
Delete